আর্ট বা শিল্প প্রকাশে টেকনলজির ভুমিকা সামান্য। তার প্রমাণ "Gabbeh", ১৯৯৬ সালের ইরানের মুভি।
মহসেন মাখমালবাফের পরিচালনায় এত অদ্ভুত-চমৎকার সিনেমাটি আমাকে রিকমেন্ড করে এক বড় ভাই, আড্ডায়। আড্ডাটা হচ্ছিল আমাদের ভাষা দূষণ নিয়ে। আমরা আমাদের বাংলা ভাষায় যে কত ইংরেজি শব্দ এনে দূষিত করে ফেলছি সেগুলো নিয়ে ৩/৪ জন আড্ডা দিচ্ছিলাম। অথচ অন্যান্য অনেক দেশেই দেখা যায় অনেকাংশেই বিশুদ্ধ তাদের ভাষা। যাই হোক, এই ভাষা থেকে কথা গড়িয়ে চলে গেলো দেশীয় চলচিত্রে। নিজস্ব স্বকীয়তায় চলচিত্রের উদাহরন দিতে গিয়ে নাম আসলো মনপুরা, মেঘে ঢাকা তারা, হীরক রাজার দেশে, পথের পাঁচালি এবং আরও অনেকগুলো নাম।
চলচিত্রের কথা আসায় আমার এক বন্ধু খুব তেতো গলায় বললো, আমরা কেমন যেনো মিশ্র একটা অবস্থায় আছি। আমাদের পোশাকে সাহেবিয়ানা, কথায়ও এখন সাহেবিয়ানা। ইংরেজী শব্দের ভুল উচ্চারনে কেউ কেউ ভেংচিও কাটে। আর এই ভেংচি কাটাটা খুব করে হয় যখন আমাদের দেশীয় কোন পরিচালক বা গায়ক বা শিল্পী তাঁর কোন শিল্প উপস্থাপন করেন। "এহ্!! একন কি আর এসব চলে রে মনু! দু-এক্কান আইট্যাম না তাকলে ত চলে না নে! "
এ ধরনের নানান কথায় ঘুরে ফিরে চলে এলো নিজস্ব স্বকীয়তায় বানানো ইরানের চলচিত্র। নতুন করে কিছু বলার নেই ইরানের চলচিত্র শিল্প নিয়ে। কি অদ্ভুত তাদের ভঙ্গি চলচিত্র বানানোর ক্ষেত্রে। কি অবলীলায় প্রকাশ করে তারা সব কিছু। আমরা কেন পারি না "আমাদের সিনেমা" বানাতে? কেন আমাদের ঘুরে ফিরে ফর্মুলা ছবিই বানাতে হয়? উত্তরঃ টাকা! মুনাফা! প্রচার!
যাই হোক!! "Gabbeh" শব্দের অর্থ ইরানের গ্রাম্য পাপস। প্রধান চরিত্র এই পাপসটিই!
আড্ডার বড় ভাইটি বলছিলেন, "ভেবে দেখ, একজন শিক্ষক আকাশ দেখালো আর তার হাত হয়ে গেল নীল রং! দেখালো সবুজ মাঠ, হাতে চলে এলো সবুজ ঘাস! বাচ্চারা শিখে ফেললো!" কি অদ্ভুত!! এতটুকু শুনেই আমি বেশ উৎসাহী হয়ে গেলাম সিনেমাটা দেখার জন্য। বেশ অবাক হয়ে দেখলাম! ভাল লাগলো!
টরেন্টঃ http://kickass.to/gabbeh-with-english-subtitles-t5665029.html
IMDB: http://www.imdb.com/title/tt0116384/